Friday 30 June 2017

“ইহুদি থেকে নাস্তিক এরপর পেলেন কাঙ্খিত ধর্ম সনাতন এর খোঁঁজ ,এমন একজনের জীবনী যা অনুকরণীয়”


     ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি হলেন  ড. রাম দাস  (অর্থ :- রাম অর্থাৎ ঈশ্বরের দাস ) ৷ তার পূর্বের নাম রিচার্ড  আলপার্ট ৷   ; জন্মগ্রহণ করেন এপ্রিল 6, 1931 সালে৷ জন্ম স্হান :- বস্টন, ম্যাসাচুসেটস, ইউ এস এ, এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

     “ তাঁর পিতা জর্জ আলপার্ট ছিলেন একজন আইনজীবি  সাথে  প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিউইয়র্ক , নিউ হ্যাভেন এবং হার্টফোর্ড রেলপথের ৷ তিনি ব্রেন্টিস বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মেডিসিন কলেজের অন্যতম প্রতিষ্টাতা এবং ইহুদিদের প্রধান তহবিল সংগ্রহক ”


রাম দাসের যৌবনকাল ও শিক্ষার্জন:-
        
         যদিও রিচার্ডের অর্থের অভাব ছিল না তবে তিনি "তার মানসিক হতাশার জন্য শোকাহত " ছিলেন। তিনি নিজেকে একজন নাস্তিক বলে প্রকাশ করতেন এবং তার প্রাথমিক জীবনের সময় কোন ধর্মের কথা প্রকাশ করেন নি, তিনি দম্ভ করে বলতেন আমি যতদিন psychedelics(ড্রাগ) গ্রহণ করতাম ততদিন পর্যন্ত আমার উপর ঈশ্বরের এক whiff(ফুঁঁ)  পর্যন্ত পড়েনি না। "

     রিচার্ড 1948 সালে উইলিসন নর্থাম্পটন স্কুলে যোগ দেন। এরপর তিনি টিফ্টস ইউনিভার্সিটির ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন ওয়াটসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রি এবং তিনি স্টাফফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট (মনোবিজ্ঞানে) টিফ্টস ইউনিভার্সিটির ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন।


রাম দাস খ্যাতি ও পরিচিতি পান:-

      একজন আমেরিকান আধ্যাত্মিক শিক্ষক এবং বিখ্যাত কিছু বইয়ের জন্য বেশ পরিচিতি পান , তার মধ্যে  ১৯৭১ সালে প্রকাশিত বই "Be Here Now" বেশ সমাদৃৃত ৷ তাছাড়া তিনি অসংংখ্য আধ্যাত্তিক বই লিখে গেছেন ৷ এছাড়াও তিনি  পরিচিতি পান তাঁর ভারত ভ্রমণ ও তাঁর সনাতন ধর্মীয় গুরু "নিম করোলি বাবার" সাথে তাঁর গুরু শিষ্যের সম্পর্কের জন্য এবং দাতব্য সংস্থা - সেবা ফাউন্ডেশন এবং হনুমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য ৷

ছবি: রাম দাস (নিচে) ও তার গুরু 


 আধ্যাত্তিকতা ও ধর্মের খোঁজ :-

    রাম দাস ১৯৬৭ সালে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন যেখানে তিনি দেখা পান  , আমেরিকান আধ্যাত্তিকতার সন্ধানী কারমেল মাইকেল রিগ্স (যিনি সনাতন ধর্ম গ্রহন করে নাম রাখেন ভগবান দাস , এবংং নিজেকে এই নামেই পরিচিতি দিতেন ) এর , এবং পরিশেষে তিনি(রাম দাস) তার গুরু এর দেখা পান যিনি রাম দাসের পথপ্রর্দশক হয়ে যান তিনি "নিম করোলী বাবা " কেনিচী আশ্রমে থাকেন , যাকে আলপার্ট "মহারাজ -জী" নামে ডাকতেন । মহারাজ-জীই ঐ ব্যক্তি যিনি আলপার্টকে "রাম দাস" নামে অভিহিত করেছিলেন, যার অর্থ "ঈশ্বরের দাস", ঈশ্বরকে রাম রূপে উল্লেখ করে। পরবর্তীতে আলপার্ট ভারতীয় আধ্যাত্মিক শিক্ষক "মেহের বাবার" সাথেও দেখা করেন এবং আলপার্ট তার বেশ কয়েকটি বইতে "মেহের বাবা " এর কথা উল্লেখ করেছেন।


সনাতন ধর্ম গ্রহন পরবর্তী জীবন  :-

      “60 বছর বয়সে, রাম দাস প্রথমবারের মতো ইহুদীধর্ম গম্ভীরভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছে একটি হিন্দু দৃষ্টিকোণ থেকে "আমার বিশ্বাস যে - কোনো দুর্ঘটনা দ্বারা আমি ইহুদি ঘরে জন্মগ্রহণ করিনি, এবং তাই আমি ইহুদি ধর্মকে সম্মান করার উপায় খুঁজে বের করতে চাই " ৷

ফেব্রুয়ারী মাস , 1997 সালে, রাম দাসের একটি স্ট্রোক হয় ,তবুও তিনি সর্বজনীন উপস্থিতি এবং ছোট স্থানগুলিতে আলোচনা করা চালিয়ে যান । তিনি লাইভ ওয়েবকাস্ট এবং হাওয়াইতে বিনামূল্যে শিক্ষার কাজ চলিয়ে যান।রামদাসকে যখন তার জীবনের বার্তা সংকলন করতে বলা হয়েছিল, তখন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "আমি মানুষকে নিজের কাজ করার জন্য একটি উপায় খুজতে সাহায্য করছি, এবং আমি মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি ..। " আগস্ট 1991-এ শান্তিতে আবেদনের জন্য রাম দাস কে  Peace Abbey Courage of Conscience  পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

       2013 সালে, রাম দাস তার শিক্ষার ও অভিজ্ঞতার উপর একটি স্মারক এবং সারাংশ জীবনী বই মুক্তি দেন,  " Polishing the Mirror: How to Live from Your Spiritual Heart (with Rameshwar Das)  " ৷  বইটির একটি সরাসরি সাক্ষাৎকারে 82 বছর বয়সে, তিনি বলেছিলেন যে তার আগের বয়সে ও মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার প্রতিচ্ছবিগুলি এখন তার কাছে অস্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, "এখন, আমি আমার 80-এর দশকে ... এখন, আমি বার্ধক্যে আছি। আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। আমি শেষের কাছাকাছি এসেছি ... এখন, আমি সত্যিই প্রস্তুত আমার চারপাশের সঙ্গীত এর মুখোমুখি হতে ।

   ✅দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা :-

      দ্যা লাভ সার্ভ স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামে সংস্থা টি নিম করলি বাবা ও রাম দাসের শিক্ষার সংরক্ষণ ও প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠিত করা হয়।
        হনুমান ফাউন্ডেশন    ১৯৭৪ সালে রাম দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান, এটি শিক্ষা, গণমাধ্যম ও কমিউনিটি সার্ভিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে সমাজের আধ্যাত্মিক কল্যাণে কাজ করে ৷ 
     সেবা ফাউন্ডেশন  ১৯৭৮ সালে জনস্বাস্থ্য নেতা ল্যারি ব্রিলিয়েন্ট এবং মানবিক কর্মী ওয়েভ গ্রেভি সহ রাম দাস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা। রাম দাশ মেটা ইনস্টিটিউটের অনুষদেও কাজ করেন যেখানে তিনি মৃত্যুর মজ্জাগত ও সহানুভূতিশীল যত্নের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

        1974 সালে তাঁর তৈরি নন লাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি তাঁর জীবনযাত্রার সময় লেখা সবকটি বইয়ের রয়্যালটি এবং তাঁর লাভ এবং অন্যান্য দাতব্য শিক্ষার জন্য লাভ করা আনুমানিক পরিমাণ আয় - বার্ষিক $ 100,000 থেকে $ 800,000 পর্যন্ত ডলার দাতব্য সংস্থায় দান করে গেছেন । ২০০৩ সালে তার বন্ধু - 1997 সালের স্ট্রোকের পর  দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে রাম দাসের সমর্থনে অনুদান প্রদানের জন্য একটি আবেদন প্রকাশ করেন, আর বলেন যে "এখন আমাদের পালা ... রাম দাসের শরীর আর ভ্রমণের তীব্রতা সহ্য করতে পারে না।"" রাম দাস আমার কাছে এসেছে, যেখানে আমি বাস করি এবং লেখা লেখি করি। আমি প্রায়শই তাঁর সাথে কথা বলি এবং আমি 73 বছর বয়সে তাঁর সুন্দর চোখেই অশ্রুপাত হতে দেখি , রাম দাস ভেবে কষ্ট পান কারণ তিনি নিজের বৃৃদ্ধ বয়সের স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রস্তুতছিলেন না ! যা তিনি এখন বুঝতে পারেন , তিনি এখনও লিখতে ও শেখার ইচ্ছা পোষণ করেন৷
 মাউই হিলস-মাউই(Maui) ,সেই স্হান যেখানে রাম দাস শেষ সময়টুকু থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি যে বাড়িতে বাস করতেন, তার মালিক তিনি নন এবং অর্থ অভাবে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে এমন ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন কারণ তার শেষ সম্ভল টুকু তিনি মানুষের জন্য দান করে গেছেন । 

 ✅ড. রাম দাসের রেখে যাওয়া বই গুলার নাম :-

 (বইগুলোর ইবুক নিতে চাইলে নাম কপি করে গুগল সার্চ করে দেখতে পারেন )

  • Identification and Child Rearing (with R. Sears and L. Rau) (1962) .
  • LSD (with Sidney Cohen) (1966).
  • Be Here Now (1971) .
  • Doing Your Own Being (1973).
  • The Only Dance There Is (1974) .
  • Grist for the Mill (with Stephen Levine) (1977) .
  • Journey of Awakening: A Meditator's Guidebook (1978) .
  • Miracle of Love: Stories about Neem Karoli Baba (1978) .
  • How Can I Help? Stories and Reflections on Service (with Paul Gorman) (1985) .
  • Compassion in Action: Setting Out on the Path of Service (with Mirabai Bush) (1991) 
  • Still Here: Embracing Aging, Changing and Dying (2000) .
  • Paths to God: Living The Bhagavad Gita (2004) .
  • Be Love Now (with Rameshwar Das)(2010).
  • Polishing the Mirror: How to Live from Your Spiritual Heart (with Rameshwar Das) (2013).

   জীবনের শেষ মূর্হুতেও তিনি তার ওয়েবসাইট মাধ্যমে শেখানো চালিয়ে যান । আসুন আজীবন মানবতার ও শিক্ষার জন্য কাজ করে যাওয়া দানবীর মহৎ মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাই ও তার সদগতি কামনা করি ৷
      
   .   .   .   . * দিবং লোকন্ সু গচ্ছতুঃ *   .   .   .   .

Thursday 22 June 2017

“খ্রিস্টান থেকে স্বঘোষিত নাস্তিক এরপরে সনাতনধর্ম গ্রহণকারী সফল জ্যোতির্বিদের জীবনী পড়ুন”


 🙏 ছবিতে  যাকে দেখছেন তিনি হলেন জন লরি ডবসন , জন্ম  ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ১৯১৫ সালে ৷🙏


   জন ডবসন চীনের রাজধানী বেইজিং এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা একজন সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন, এবং তাঁর বাবা প্রাণিবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন ৷ তিনি এবং তার পিতা-মাতা ১৯২৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোতে স্থানান্তরিত হন। তাঁর পিতা ডবসনকে লৌল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার ভর্তি করান এবং এক দশক সেখানে পড়াশোনা করেন ৷


    ✅তিনি ছিলেন আনমায়ারের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং ডবসোনিস নামের একটি পোর্টেবল, কম খরচে নিউটনিয়ান প্রতিফলক টেলিস্কোপের জন্য বিখ্যাত ছিলেন , জ্যোতির্বিজ্ঞানের সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর প্রচেষ্টার জন্য তিনি খুব পরিচিত ছিলেন ৷
"বেগবান জ্যোতির্বিজ্ঞান" এর পারফরমেন্সসহ জনসাধারণের সামনে বক্তৃতা দিতেন । জন ডবসন এছাড়াও অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রুপ সানফ্রান্সিসকো সাইডওয়াক জ্যোতিবিদ্যা এর ,সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ৷

   ✅একজন কিশোর হিসাবে জন ডবসন একটি "কট্টর" নাস্তিক হয়ে ওঠে। তিনি বলেছিলেন: "আমি দেখতে পাই যে এই দুটি ধারণা একই রকমের হতে পারে না:- 'অন্যকে কর, যেমনটা তুমি করবে' এবং 'যদি আপনি একজন ভাল ছেলে নন, তবে যদি না করো এটির জন্য তুমি জাহান্নামে।'
তারা আমাদের  প্রতারণা করত ৷( মূলত তিনি বাইবেল এর বাণীকে নির্দেশ করছেন )
তাই আমি একজন বিদ্রোহী নাস্তিক হয়ে উঠি।

  ✅এক সময় Dobson মহাবিশ্ব এবং জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে 1943 সালে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, ও লরেন্সের গবেষণাগারে কাজ করেন।

 ✅1944 সালে তিনি বেদান্তস্বামী কর্তৃক দেয়া বক্তৃতা শুনেন । ডবসন বলেন, স্বামী "তাঁর কাছে এমন একটি জগৎ প্রকাশ করেছেন যা তিনি কখনও দেখেন নি।" সেই একই বছর ডবসন সানফ্রান্সিসকোতে বেদান্ত সোসাইটির মঠে যোগ দেন, রামকৃষ্ণ আদেশের একজন সন্ন্যাসী হয়ে উঠেন। "মঠের দায়িত্ব থেকে একজন বেদান্তের শিক্ষার সাথে সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধনে দায়িত্বে ছিলেন। যে কাজের পাশাপাশি তাকে telescopes নির্মাণ এর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি আশ্রমের বাইরের চারপাশে ঘুরে বেড়াতেন, প্রতিবেশীদের চিত্ত আকর্ষণ করতেন,  যারা তাঁর চারপাশে থাকতেন ৷

    → অবশেষে জন ডবসন তার টেলিস্কোপ বিল্ডিং বন্ধ বা ছাড়ার বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। তিনি তিনি নির্মাণের কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছিলেন যাতে তিনি মঠে থাকতে পারেন। কিন্তু একদিন আরেকজন সন্ন্যাসী ভুলভাবে তাকে অনুপস্থিতিতে ডবসনকে মঠের স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং স্বামীকে জানায়।
ডবসনকে 1967 সালে বহিষ্কার করা হয়েছিল। 
 ডবসন এই মঠে 23 বছর অতিবাহিত করেন ও পরে তিনি জ্যোতির্বিদ্যা প্রচারে আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে।


   ✅তবে তিনি বলেন যে অভিযোগটি তার বহিষ্কারের জন্য প্রকৃত কারণ নয়। সত্যিকারের কারণটি তিনি  বলেন যে , এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। স্বামীজি একটি কাগজ পড়েছিলেন যা সম্ভবত ডবসনের লেখা ছিল , এটা পড়ে স্বামী ভেবেছিলেন যে ডবসন স্বামীর শিক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

  ✅১৯৬৭ সালে সানফ্রান্সিসকো সিডওয়াক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায়, একটি জ্যোতির্বিজ্ঞান সংগঠন তৈরি করেন যার লক্ষ্য ছিল রাস্তায় মানুষের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা, ব্রুস সামস এবং জেফারির রোলফের সাথে।
এই সময়েও ডবসন একটি খুব সরল ধরণের টেলিস্কোপ তৈরি করে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন৷

     →পরে তাকে দক্ষিণ ক্যালফ্রোনিয়া, হলিউডে বেদান্ত সোসাইটি এ পাঠদান করতে বলা হয় এবং প্রতি বছর টেলিস্কোপ ও জ্যোতিবিদ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যয়নের জন্য দুই মাস ব্যয় করতে থাকেন । তিনি সানফ্রান্সিসকোতে তাঁর বাড়ীতে দুই মাস বিশ্রামে অতিবাহিত করেন এবং তাকে প্রত্যেক বছর জ্যোতির্বিদ সমাজের জন্য একটি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় , যেখানে তিনি টেলিস্কোপ বিল্ডিং, সেডওয়াক জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ব্রহ্মবিদ্যা এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠায় তার মতামত সম্পর্কে কথা বলতে ৷

    🚩এভাবে বেদান্তবাদি শিক্ষার প্রচার করতে করতে ৯৯ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ৷
    
  ॐআমরা তার বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করি ৷ॐ
            "" দিব্যং লোকন্ স্ব গচ্ছতুঃ ""

Sunday 18 June 2017

“বিখ্যাত অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস সনাতন ধর্মে পর্দাপণ করলেন”


  •   "ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি জুলিয়া রবার্টস ও পাশে তার দীক্ষা গুরু "

→ সময়টা ছিল ২০১০ সালের আগস্ট মাসের দিকে৷

 ★ বহুল আলোচিত প্রশ্ন:- খ্রিস্টান ধর্ম থেকে হঠাৎ এমন কী জিনিস যার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করলেন জুলিয়া ?

      “এই রহস্য তিনি নিজেই উন্মোচন করেছেন। চলুন শুনি তার ভারতের “The Hindu newspaper” কে দেয়া সাক্ষাতকারে”

   🔗তিনি বলেছেন :-  “গত বছর ইট প্রে অ্যান্ড লাভ নামের একটি ছবিতে কাজ করতে ভারতে গিয়েই সনাতন ধর্মের প্রেমে পড়েন তিনি। ছবির কাজে তাঁকে কয়েক দিন থাকতে হয়েছিল একটি মন্দিরে। সেখানে একজন ধর্মান্তরিত নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। মন্দিরে অবস্থান করার সময়ে সনাতন ধর্মের বেশ কিছু রীতি-নীতিতে মুগ্ধ ,অনুপ্রাণিত এবং প্রকৃৃত আধ্যাত্তিকতায় বিস্মিত হয়েই শুদ্ধিকরণ যজ্ঞের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে, জানিয়েছেন তিনি।”

      ✅তিনি আরো জানিয়েছেন যে “সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়ে জুলিয়া রবার্টস এখন নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করছেন। সনাতন ধর্মের বিভিন্ন নিয়ম-রীতি পালন করছেন কঠোরভাবে। লস অ্যাঞ্জেলসের মন্দিরে জুলিয়া রবার্টসের সঙ্গী হচ্ছেন স্বামী ড্যানিয়েল মর্ডার ও দুই সন্তান। জুলিয়া সনাতন ধর্ম বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছেন” বলেছেন ৷

      “কিছু দিন আগেও একজন ধার্মিক খ্রিষ্টান হিসেবে জুলিয়া রবার্টসের বেশ সুখ্যাতি ছিল। নিয়মিত গির্জায় গিয়েও তিনি উপাসনা করতেন। তাঁর এই ধর্মান্তরিত হওয়ায় অনেকেই বেশ অবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে।”

    “যে ছবিটির কারণে তিনি সনাতন ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন, সেই “ইট প্রে অ্যান্ড লাভ” মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ এর ১৩ আগস্ট ।৷ ”

🚩সনাতনী পাঠক গণ এই তথ্য গর্বের সাথে শেয়ার করুন ৷
           ✅তথ্য প্রমাণ দেখতে চাপুন

Thursday 15 June 2017

“সোশ্যাল মিডিয়ায় উপনয়ন সংস্কার নিয়ে কতিপয় মুসলিমদের অপপ্রচারের দাঁঁতভাঙ্গা জবাব”


ছবি:- তামিল ব্রাহ্মণ বালকের উপনয়ণ

“পাঠক প্রথমেই উপনয়ন সংস্কার সম্মন্ধে কিছুসংখ্যক  ধারণা লিপিবদ্ধ করা হল :-

★彡 “উপনয়ন ও যজ্ঞোপবীত” 彡★

…উপ অর্থ "নিকটে " এবং নয়ন অর্থ "চোখ " অর্থাৎ যে সংস্কার অনুষ্টান এর ফলে জ্ঞানচক্ষু(নয়ন) দ্বারা বিদ্যার্থীকে ঈশ্বরের নিকটে নিয়ে যায় তাই উপনয়ণ ৷
  উপনয়ন একটি হিন্দু শাস্ত্রানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিন্দু বালক-বালিকা উভয়ে দশবিধ সংস্কারে অন্যতম সংস্কারের মাধ্যমে  দ্বিজত্তে উন্নিত হতে পারে । হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে, উপনয়ন বালকবালিকাদের শিক্ষারম্ভকালীন একটি অনুষ্ঠান।

★সনাতনধর্মে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য বর্ণের জন্য উপনয়নের ন্যূনতম বয়স যথাক্রমে অষ্টম , একাদশ ও দ্বাদশ বছর ।
   সূত্র-গোবিলগৃহসূত্র্যম দ্বিতীয় প্রপাঠক , দশম্ খন্ডম্ ৷

উপনয়নকালে বালক ও বালিকাকে ব্রহ্মোপদেশ শিক্ষা দেওয়া হয় ৷ মনুস্মৃতি অনুযায়ী, এরপর তারা ব্রহ্মচারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

★ উপনয়ন অনুষ্ঠানে শরীরে যজ্ঞোপবীত বা উপবীত (চলিত বাংলায় পৈতে) ধারণ করা হয়। উপবীত প্রকৃতপক্ষে তিনটি পবিত্র সূতো যা দেবী সরস্বতী, গায়ত্রী ও সাবিত্রীর প্রতীক। উপবীত ধারণের সময় উপবীতধারী গায়ত্রী মন্ত্র শিক্ষা করে। উপনয়নের পর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের দ্বিজ বলা হয়, দ্বিজ শব্দের অর্থ দুইবার জাত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রথমবার ব্যক্তির জন্ম হয় মাতৃগর্ভ থেকে; এবং দ্বিতীয়বার জন্ম হয় উপবীত ধারণ করে।

“ভগবান কে পাওয়ার জন্য যে জ্ঞান তাই ব্রহ্ম জ্ঞান, সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য গায়ত্রী মন্ত্রসাধনের অধিকার লাভ করবার অনুষ্ঠানকে উপনয়ন বলে৷”

       “ যজ্ঞোপবীতের/পৈতার এক এক একটি সুত্রে এক একজন দেবতা আছেন, ১ম তন্তুতে ওঁকার, ২তন্তুতে অগ্নি, ৩ তন্তুতে অনন্তনাগ, ৪ তন্তুতে চন্দ্র, ৫ তন্তুতে পিতৃগণ, ৬ষ্ঠ তন্তুতে প্রজাপতি, ৭ম তন্তুতে বায়ু , ৮ম তন্তুতে সূর্য , ৯ম তন্তুতে সর্বদেবতা ৷”
নিম্মের চিত্র লক্ষ্য করুন -



    → এই যজ্ঞোপবীতের / পৈতার ঊৎপত্তি সম্বন্ধে গৃহ্যাসংগ্রহে বর্ণিত আছে:-

  “ব্রহ্মেণোৎপাদিতং সূত্রং বিষ্ণুনা ত্রিগুণীকৃতম্ ,
     রুদ্রেণ তু কৃতো গ্রন্থিঃ সাবিত্রায়াচাভিমন্ত্রিতম্ ”

অর্থাৎ ব্রহ্মা সূত্র প্রস্তুত করেন, বিষ্ণু ৩ দণ্ডী করেন, রুদ্র গ্রন্থি দেন ও সাবিত্রী মন্ত্র পূত করেন৷

★ মনুষ্যদেহ ৯ দ্বার যুক্ত -----২ চোখ, ২ কান, ২ নাক, মুখ, লিঙ্গ ও পায়ু এই ৯ দ্বার দিয়েই আমাদের শরীরে পাপ প্রবেশ করে -
...এই নবদ্বার বন্ধ করার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি স্বরূপ ৯ টি তন্তু সমৃ্দ্ধ যজ্ঞোপবীত বা পৈতা৷ যজ্ঞোপবীতে ৩টি গিঁট বা "ব্রহ্ম গ্রন্থি" থাকে। এই সূত্রত্রয় কর্তব্যপরায়ণ মানুষকে তিনটি ঋণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। 
সেই ঋণত্রয় হল- ১) 'দেব-ঋণ' অর্থাত্ ঈশ্বরের প্রতি ঋন বা দায়িত্ব, ২) 'পিতৃ ঋণ' অর্থাত্ পিতামাতা, পরিবার পরিজান ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব এবং ৩) 'ঋষি-ঋণ' অর্থাৎ বৈদিক ঋষিগন যে মানবকল্যানের বিধিবিধান দিয়ে গেছেন তার প্রতি দায়িত্ব পালন।

→বাঙালি হিন্দু সমাজে অবশ্য কেবলমাত্র ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রেই উপনয়ন সংস্কার প্রচলিত হলেও নারী-পুরুষ , ক্ষত্রিয় ,বৈশ্য সকলের বিধান আছে । উপনয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে তার বিধান আমরা বেদ থেকেই পাই ৷ যথা:-

     "ব্রহ্মচর্যেন কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্।                                  (অথর্ববেদ ১১.৫.১৮)
 অর্থাত্ “ঠিক যেমন যুবক ব্রহ্মচর্য শেষ করে বিদুষী কন্যাকে বিয়ে করবে ঠিক তেমনি একজন যুবতীও ব্রহ্মচর্য শেষ করে পছন্দমত বিদ্বান যুবককে স্বামী হিসেবে গ্রহন করবে।”

🔗সর্বপ্রাচীন বৈয়াকরণিক মহর্ষি পাণিনী তার সংস্কৃত ব্যকরন শাস্ত্রে ছাত্রীদের ব্রহ্মচর্যের প্রতিষ্ঠান ছাত্রীশালা ও এর মহিলা অধ্যাপক আচার্যনি এর এর উল্লেখ করেছেন-

"মাতুলাচার্যাণামানুক্ত"
>পাণিনি ৪.১.৪৬

এবং "ছাস্যাদযঃ ছাত্রীশালাযাম্"
>পাণিনি ৬.২.৭৬

ব্রহ্মচারিনী ছাত্রীদের নারী শিক্ষক উপদেষ্টির উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদ ১.৩.১১,

“চোদয়িত্রী সূনৃতানাং চেতন্তি সুমতীনাং যজ্ঞম দধে সরস্বতী”
-ঋগ্বেদ ১.৩.১১

  অনুবাদ :-   “সুনৃত বাক্যের উৎপাদয়িত্রী , সুমতি লোকদিগের শিক্ষয়ত্রী সরস্বতী আমাদিগের যজ্ঞ গ্রহন করিয়াছেন  ।”

পবিত্র বেদ ও শতপথ ব্রাহ্মনে আমরা দেখতে পাই যে কিভাবে গার্গী, মৈত্রেয়ী, অত্রেয়ী, বাক, অপালাসহ বিভিন্ন নারীরা ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে ঋষি পর্যায়ে উন্নীত হন৷ 

এবার চলুন উপনয়ণ নিয়ে ভন্ডদের অপপ্রচারের জবাব দিই :-

প্রথমে লেখিয়াছেন👇👇

 👉 ইহা ১ অদ্ভুত ধর্ম . নাম তার সনাতনী ধর্ম. বা. অনেকে হিন্দু ধর্ম নামেও চিনে থাকি...



  ✴আমার জবাব ও প্রশ্ন :-

     এই কতিপয় ভন্ডগুলো কিসের প্রেক্ষিতে সনাতন ধর্ম এর উদ্দেশ্যে "অদ্ভুত" শব্দ ব্যবহার করিলেন তারাই জানেন!! 

  যদি উক্ত পোস্টের বিষয়ে বলে থাকেন তো তার জবাব কসিয়ে পাবেন ৷


 তারপর লিখিলেন :-👇

     👉 জেই ধর্মে আপন জন্মদাত্রী মাকেই সম্মান করা হয়না.. উলটা মাকে নত হতে হয় ছেলের পায়ের নিচে.. . এর চেয়ে অপদস্থ আর কি হতে পারে ১ জন মায়ের জন্য...


আমার জবাব :-

   আহা আপনার কতই না দরদ !!  তাই  বলিতেছেন 

সনাতন ধর্ম কে উদ্দেশ্য করে যে জন্মদাত্রী মাকে সম্মান করা হয় না !! মাকে নত হতে হয় ছেলের পায়ের নিচে !! বেশ তো মশায়  এখন আপনারা লাইনগুলার কোনো রেফারেন্স দিতে পারলেন না যে ??

 বরং সনাতন শাস্ত্রে বলা হয়েছে:

  "" জননী জন্মভূমিশ্চ সর্গাদপি গড়িয়শি "" অর্থাৎ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও মহান  ৷৷   বরং আপনাদের আমার প্রশ্ন সনাতম ধর্মের মত মাকে এমন সম্মান কোন ধর্ম দিয়েছে বলুন ?? আপনি বলবেন আমাদের ধর্মে বলা আছে " মায়ের পদতলে বেহেস্ত !" 

  মশায় মায়ের পায়ে বেহেস্ত বেশি সম্মানের  না  বেহেস্ত থেকে মা কে মহান  বলা সম্মানের ??

তারপর লিখিলেন :-👇


👉👉ব্রাহ্মণ থেকে ধর্মান্তরিত লেখক আবুল হোসেন ভট্টাচার্যের বইতে পড়েছিলাম, হিন্দুধর্ম অনুযায়ী ব্রাহ্মণ হতে পারে কেবল পুরুষমানুষ, ব্রাহ্মণের ঘরে যে মহিলারা রয়েছে তারা কিন্তু ব্রাহ্মণ হতে পারে না। গীতা অনুযায়ী সমস্ত মহিলাই পাপযোনী প্রসূত, তাই ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মালেও তাকে শূদ্র হতে হবে।

✴আমার জবাব :-


   আহা আপনার কতই না দরদ !!  তাই  বলিতেছেন 

সনাতন ধর্ম কে উদ্দেশ্য করে যে জন্মদাত্রী মাকে সম্মান করা হয় না !! মাকে নত হতে হয় ছেলের পায়ের নিচে !! বেশ তো মশায়  এখন আপনারা লাইনগুলার কোনো রেফারেন্স দিতে পারলেন না যে ??

 বরং সনাতন শাস্ত্রে বলা হয়েছে:

  "" জননী জন্মভূমিশ্চ সর্গাদপি গড়িয়শি "" অর্থাৎ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও মহান  ৷৷   বরং আপনাদের আমার প্রশ্ন সনাতম ধর্মের মত মাকে এমন সম্মান কোন ধর্ম দিয়েছে বলুন ?? আপনি বলবেন আমাদের ধর্মে বলা আছে " মায়ের পদতলে বেহেস্ত !" 

    "মশায় মায়ের পায়ে বেহেস্ত বেশি সম্মানের  না  বেহেস্ত থেকে মা কে মহান বলা সম্মানের ??


→তারপর লিখিলেন :-👇


👉👉ব্রাহ্মণ থেকে ধর্মান্তরিত লেখক আবুল হোসেন ভট্টাচার্যের বইতে পড়েছিলাম, হিন্দুধর্ম অনুযায়ী ব্রাহ্মণ হতে পারে কেবল পুরুষমানুষ, ব্রাহ্মণের ঘরে যে মহিলারা রয়েছে তারা কিন্তু ব্রাহ্মণ হতে পারে না। গীতা অনুযায়ী সমস্ত মহিলাই পাপযোনী প্রসূত, তাই ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মালেও তাকে শূদ্র হতে হবে।


 →কোনো রেফারেন্স দেয়া নেই অথচ ঢোল পিটাতে ব্যস্ত , শুধু পুরুষই ব্রাহ্মণ হয় মহিলা শুদ্র থাকে তবে যদি কেউ দেখান ভাল হয় ! !
  
     মহিলারা যে ব্রহ্মচর্য পালন করতে পারে তার অধিকার আছে তা প্রথমেই আলোচনায় উল্লেখ করেছি শাস্ত্র প্রমাণ সহ ,তাই আবার দেয়ার প্রয়োজন নেই মনে করি ৷
   উপনয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে শাস্ত্র মতে ।  প্রাচীন বৈদিক সমাজে নারীশিক্ষার ও নারীদের উপনয়ন তথা ব্রহ্মচর্য জীবন পালনের একটি চিত্র। নিম্নরুপ-

   ""পাণিনি তার সংস্কৃত ব্যকরন শাস্ত্রে ছাত্রীদের ব্রহ্মচর্যের প্রতিষ্ঠান ছাত্রীশালা ও এর মহিলা অধ্যাপক আচার্যনি এর এর উল্লেখ করেছেন --- 

"মাতুলাচার্যাণামানুক্ত" ........ পাণিনি ৪.১.৪৬ এবং "ছাস্যাদযঃ ছাত্রীশালাযাম্" ........ পাণিনি ৬.২.৭৬, ব্রহ্মচারিনী ছাত্রীদের নারী শিক্ষক উপদেষ্টির উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদ ১.৩.১১ , ১০.১৫৬.২ প্রভৃতিতে ৷""

 
     পবিত্র গীতা অনুসারে সকল মহিলা পাপযোনী প্রসূত !!  এই  লেখাটা  তিনি  শ্রীমদভগবত গীতার কোথায় পেলেন কিছুই তো বললেন না ❗ ❗ তার মানে ভন্ডামি নয় ❓ ❓


      আর তিনি যখন একজন ব্রাহ্মণ ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলিলেন , আমিও একজন মসজিদের ইমামের সনাতনে ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উদাহরণ দিই তার নাম পূর্বে ছিল মেহবুব আলী বর্তমানে ধর্মপ্রচারে নিয়োজিত তার বর্তমান নাম " মহেন্দপাল  আর্য" ৷ আরো জানতে( http://bangalihindupost.blogspot.com/2012/08/blog-post_21.html )
                        (ছবি মহেন্দ্র পাল )

 এরপর লিখলেন :-👇

👉 👉কিন্তু সেই মহিলার গর্ভে যখন পুত্রসন্তান জন্মায়, তখন তাকে ব্রাহ্মণ হিসেবেই ধরা হয়। মা ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মেও শূদ্র আবার তারই গর্ভজাত ছেলে ব্রাহ্মণ, তাই মা হয়েও ছেলের পা ধরে প্রণাম করতে হবে তার পৈতাধারণ অনুষ্ঠানে।


✴আমার জবাব :-👇


  👉👉এই লেখা গুলি পড়ে আমার আর সন্দেহ থাকল না যে ভন্ডদের মাথায় বড় সড়  সমস্যা আছে !!  একে তো তার গাজাখুড়ি গল্প শুনালেন একদিকে দাবি দেখুন " মা ব্রাহ্মণ ঘরে জন্ম নিয়ে ব্রাহ্মণ হয় না সত্য !" কিন্তু ছেলে জন্ম নিলেই ব্রাহ্মণ হয়ে যায় কিভাবে ??

     আরে  অল্প বুদ্ধির মুমিন “ব্রাহ্মণত্ব কেউ ব্রাহ্মণ ঘরে জন্ম নিলে হয় না , ব্রাহ্মণত্ব অর্জন করে নিতে হয় ৷ যারা বেদ ধর্মচর্চা , ধর্ম শাস্ত্র শিক্ষা , ও সব্বোপরি  দশবিধ সংস্কারে সম্পুর্ণ হয়ে থাকে তাবেই ব্রাহ্মণ হবে ৷( আরো জানতে কল্কিপুরাণ প্রথম অংশ ,দ্বিতীয় অধ্যায় ছবিতে দেখুন ) ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত নয় এমন কাউকে শাস্ত্র ব্রাহ্মণ বলে স্বীকৃৃতি দেয়নি ৷৷”


    👉👉   তারপর বলছেন পৈতাধারণ অনুষ্টানে ( সে এটাও জানে না একে বলে উপনয়ন অনুষ্টান ) নাকি ব্রহ্মচারী ছেলেকে  মার পা ছুয়ে প্রণাম করতে হয় !😡

   → এইখানে তারা চরম মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে|

  →তারা এই টা কোথায় পেল??? আমি তাদের কে চ্যালেন্জ দিলাম রেফারেন্স প্রদর্শনের জন্য ৷

   👉 ভারতে সনাতনী ভাইবোনদের শত শত জনের উপনয়ন একসাথে হয় কই কোনোদিন দেখলাম না , শুনলাম না যে শাস্ত্রে বা অনুষ্টানে  মা তার পুত্রকে প্রণাম করেছে বা বলা হয়েছে ৷ ৷


   👎 আবার যদি একটি ছবিও google থেকে খুজে দিয়ে বলে যে সেই ছবিতে মহিলা একজন ছেলে কে প্রনাম করছে দেখা যাচ্ছে ! এখন মহিলাটি যে ছেলেটির মা তার প্রমাণ কি  ?? আর নিচু হলেই প্রমাণ হল না কেননা তারা বলেছে পা ছুয়ে নাকি প্রণাম করে !! বুঝুন এবার !

  .. If they has guts lets them prove that ..


    সবশেষ একটা কথা বলি  “এই সামান্য বিষয় যাদের মাথায় ঠুকে না তাদের সনাতন ধর্ম নিয়ে মূর্খের মত ভূয়া পোস্ট দেয়ার যোগ্যতাই আছে মাত্র ৷৷ ”


                   ** সত্যমেব জয়তে ** 

Monday 12 June 2017

“ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে যুবক বয়সেই সনাতনধর্ম গ্রহনকারী এক সাহিত্যিকের জীবনী পড়ুন”

* ওঁঁ তৎ সৎ *


                     
      ☝ ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি হলেন  “মোহাম্মদ আনোয়ার শেখ” , জন্মগ্রহন করেন ১৯২৮ সালের ১ জুন , বর্তমান পাকিস্থানের একটি সুন্নি মুসলিম পরিবারে ৷ তিনি বলেছিলেন তাঁঁর মা কোরানের একটি বড় অংশ মুখস্ত বলতে পারতেন অর্থাৎ হাফেজা ছিলেন ৷ এ থেকে বুঝা যায় যে তাঁঁর পরিবার বেশ ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন ৷

  নিম্মের বিবরণগুলি সম্পূর্ণ ওনার জীবনী থেকে নেয়া :- 

     → তিনি স্বীকার করেন কিশোর বয়সেই মুসলিম হিসেবে দৃৃঢ় মনোভাব সম্পন্ন ছিলেন, যেহেতু ১৯৪৭ এর ভারত উপমহাদেশ বিভাগের সময় ঘটে যাওয়া হিন্দু-মুসলিম-শিখ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার "মোহাম্মদ শেখ" মুসলিম উগ্রবাদীদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে হিন্দু , শিখ হত্যার বর্বর কাজে লিপ্ত হন অন্যান্য মুসলিমদের মত!   তিনি স্বীকার করেন যে- দাঙ্গার প্রথম দিনই তিনি দুইজন শিখকে হত্যা করেন যারা উভয়ই ছিল সম্পর্কে পিতা-পুত্র ৷ ঘটনার কিছু দিন পরই আরেক শিখকে সে হত্যা করে!
      
   ★ইসলামধর্ম ত্যাগ :-  যখন তিনি ২৫ বছরের যুবকে পরিণত হন , তার মনে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহ বাড়তে থাকে , একপর্যায়ে ইসলাম সম্পর্কে তার ধারণা এতই খারাপ হতে থাকে যে তিনি ইসলামের ঘোরতর বিরোধীতা করা শুরু করে ৷ তখন থেকে তার অন্তরে ১৯৪৭ সালে বিধর্মীদের উপর তার বর্বর হত্যাকান্ডের স্মৃৃতি তাকে ভিতর থেকে অনুশুচনায় বিদ্ধ করতে থাকে !

      →  একসময় তিনি যুক্তরাজ্য তে অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করে কষ্টকর এক জীবন শুরু করেন , এর কিছু পর একসময় যুক্তরাজ্যের ওয়েলস(Wales) এর এক মহিলাকে বিয়ে করে সফল ব্যবসায়ী বনে যান ৷

   ★সনাতনধর্ম গ্রহন:-  আনোয়ার শেখ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সত্য মানবতার ধর্ম সনাতনধর্ম গ্রহন করেন এবং নাম পরির্বতন করে রাখেন  "অনিরুদ্ধ জ্ঞানশিখা "৷ তারপর থেকে সনাতনধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্হ পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভাগবতগীতা পাঠ করে তিনি জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁঁজে পান ও নতুন জীবন শুরু করেন ৷ এই খবর পাকিস্তানে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই সেখানের ১৪জন আলেম মিলে তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে এই অজুহাতে যে -তিনি ইসলামধর্ম কে নিচু করেছেন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে , ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের ৷
      …ফতোয়ার খবর তিনি পাওয়া মাত্রই চলে যান ওয়েলস এর কারর্ডিলফ শহরে স্ত্রীসহ প্রাণবাঁঁচাতে! মৃৃর্ত্যু আগ পর্যন্ত ওয়েলস এই বসবাস করেছিলেন , ইসলামের অসহিষ্ণুতা , বর্বরতার বিরুদ্ধে শেষ প্রাণ থাকা পর্যন্ত প্রচুর বই লিখে গেছেন ৷ ৷ তিনি ইসলামের বির্ধমীর উপর বর্বরতা ও আরবীয় ফেসিস্ট মনোভাব নিয়ে ৫ টির অধিক বই লিখে গেছেন ! তার মৃৃর্ত্যু হয় ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে, মৃৃর্ত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর  ৷  

★অনিরুদ্ধ জ্ঞানশিখা(আনোয়ার শেখ) লিখিত মূল্যবান বইগুলি হলো :-

             1॰ Islam: The Arab Imperialism , Cardiff, Principality, 1998.
            2॰ The Vedic Civilization
            3॰ Apostasy in Islam
            4॰ Criticism of Islam
            5॰ List of former Muslims
            6॰ Religious conversion
            7॰ Why Muslims destroy Temples

    ... তার সেই লিখিত বই গুলো তৎকালীন লন্ডনের বেশ পরিচিত লেখক তারিক আলি স্বীকৃৃতি দেন এবং “অনিরূদ্ধ জ্ঞানশিখা” এর উদ্দেশ্যে সহর্মমিতা জানিয়ে তারিক আলি তার একটি সাহিত্য বই “অনিরুদ্ধ জ্ঞানশিখার” নামে উৎসর্গ করেন ৷ “তারিক আলি উল্লেখ করেন তখনকার যুক্তরাজ্যের প্রগতিশীল মুক্তমনা মুসলিমদের মাঝে "অনিরূদ্ধ জ্ঞান"  খুব বিখ্যাত হয়েছিলেন৷

সবর্শেষে " অনিরূদ্ধ জ্ঞান " স্যারের বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করি ৷ দিব্যং লোকন্ স্ব গচ্ছতুঃ 
   
 তথ্যপ্রমাণ:- https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anwar_Shaikh

                     লেখক - " দীনবন্ধু " 

“ড. শিব শক্তি নামক কাল্পনিক চরিত্র ! একটি ইসলামিক তাকিয়ার নমুনা”

                               




   “ সম্মানিত পাঠকগণ আপনারা হয়তো অনলাইনে বহু ইসলামিক গ্রুপ , পেজ এসব স্থানে এই শিবশক্তি সরূপজী (ইসলামুল হক)  নামক একজন কথিত ধর্মগুরু এর ইসলাম গ্রহন নিয়ে কিচ্ছাকাহিনী ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার হতে নিশ্চয় দেখেছেন , আশ্চর্যজনক বিষয় যে তার কোনো প্রমাণ তারা উপস্থাপন করতে আজও পারেনি ৷৷”

       “ সেটি পড়ে হয়ত সত্যি বলে ধরে নিয়েছেন , এই আর্টিকেলে সেই দাবির পোস্টমর্টেম করা হবে প্রমাণ সহিত  ৷৷

   ★ প্রথমে আপনাদের অবগতির জন্য এই অপপ্রচারে ব্যবহারকৃৃত ব্যাক্তির ছবিটি দেখানো যাক :-

     

কিছু প্রশ্নের অবতারনা করা যাক :- 


  ১॰ ছবিতে আপনি যাকে দেখছেন ইনি সত্যিই শিবশক্তি ?

  ২॰ ড. শিবশক্তি নামে বাস্তবে কেউ আছেন না ছিলেন ? যা মুসলিমরা বছর বছর ধরে প্রচার করছে !! 

★ আসুন এবার প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁঁজা যাক প্রমাণের সহিত ৷
  
      প্রথমে চলুন শিবশক্তি নামে ব্যবহারকৃৃত উক্ত ব্যাক্তির একক একটি ছবিতে লক্ষ্য করা যাক , ছবির সূত্র ধরে বাস্তবে তার পরিচয় বের করা হবে -



      …পাঠক লক্ষ্য করুন উপরের ছবিটি , এবার দুটো ছবিতে থাকা ব্যাক্তি চেহারা মিলান , কি দুটো একই ব্যাক্তি ধরতে পারলেন ?

  যেহেতু দুজনেই একই ব্যক্তি , তাই ব্যাক্তিটির পরিচয় যদি শিবশক্তি না হয় তাহলে প্রমাণ হয়ে যায় যে শিবশক্তি নামক কারো অস্তিত্ব নেই ৷৷ 

★এবার সত্যিকারে ব্যাক্তিটি কে জানা যাক :-

      “ দুই ছবির ব্যাক্তি কিন্তু একজনই এবং তিনি হলে ব্রিটিশ পপ গায়ক ক্যাট স্টিভেন ( Cat Stevens ) ৷ প্রমাণ স্বরুপ ক্যাট স্টিভেন এর একটি ইউটিউব গানের লিংক ও ক্যাট স্টিভেন Wikipedia biography লিংক যুক্ত করা হল ৷ ”

   ★তথ্য প্রমাণ :- 


    ★ যথার্থ তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে এটি প্রমাণিত হল যে ড. শিবশক্তি নামক চরিত্রটি একটি কাল্পনিক অতএব এই নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই ৷ এটি শুধু মাত্র কপট ইসলামিস্টদের কপটতামাত্র , যাতে হিন্দুদের ব্রেইনওয়াশ করা যায় ৷ এখন এটা পড়ার পর কতিপয় মুসলিম যদি এসে দাবি করে যে শিবশক্তি বলে কেউ আছে !! … বেশ , তবে তাদের চ্যালেন্জ দিয়ে বলতে চাই “ আপনারা "ড. শিবশক্তি " নামে কেউ আছে তার প্রমাণ দিন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে ৷ যদি না পারেন তবে উক্ত অপপ্রচার যে সম্পূর্ণ তাকিয়াবাজি তা বার বার প্রমাণ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷


    ★ সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল ইসলামিক ব্লগে দেখবেন এনার নামের সাথে নানা ডিগ্রী লাগিয়ে এই ডাহা মিথ্যা জোরকদমে প্রচার করা হচ্ছে , এতে বুঝা যায় মুসলিমরা ধর্ম প্রচার এ কত নিচে নামতে পারে ৷  


  ✔ সবর্শেষে আপনাদের নিকট অনুরোধ নিজে জানুন ও সবার কাছে শেয়ার করে সচেতনতা গড়ে তুলুন এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ৷ 

“ড. শিব শক্তি নামক কাল্পনিক চরিত্র ! একটি ইসলামিক তাকিয়ার নমুনা”

                                ॐ    “ সম্মানিত পাঠক গণ আপনারা হয়তো অনলাইনে বহু ইসলামিক গ্রুপ , পেজ এসব স্থানে এই শিবশক্তি সরূপজী...

সব্বোর্চবার পঠিত